হাঁস
অবয়ব
হাঁস অ্যানাটিডি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত জলচর পাখি। এই পরিবারের অন্য দুই সদস্য হলো মরাল আর রাজহাঁস। এরা আকারে বড়। হাঁসদের অনেক প্রজাতি পরিযায়ী, আবার কিছুসংখ্যক এক জায়গায় স্থায়িভাবে বসবাস করে। হাঁসের ঠোঁট চ্যাপ্টা। ঠোঁটের কিনারা চিরুনির মতো খাঁজকাটা। ডানা জোড়া সাধারণত লম্বা ও আগা চোখা যা দীর্ঘক্ষণ ওড়ার পক্ষে সহায়ক। হাঁসের ঘাড় ও পা রাজহাঁস ও মরালের ঘাড় ও পায়ের তুলনায় আকারে ছোটো। স্ত্রী ও পুরুষ হাঁসের মধ্যে বৈসাদৃশ্য দেখা যায়। এদের ডাকও বেশিরভাগক্ষেত্রে ভিন্ন।
উক্তি
[সম্পাদনা]- কতগুলো বক হাঁটু-জলে নেমে ভারি গম্ভীরভাবে মাছ ধরবার ফন্দি আঁটাছে, একসময় একটি রাজহাঁস উড়ে এসে সেইখানে নামল। বকগুলো তাকে দেখে আশ্চর্য হয়ে বলল, ‘বাঃ চোখ লাল, মুখ লাল, পা লাল, তুমি কে হে?’
হাঁস বলল, ‘আমি হাঁস।’
বকেরা বলল, ‘তুমি কোত্থেকে আসছ?’
হাঁস বলল, ‘মানস সরোবর থেকে।’- উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী (প্রবাসী পাখি), উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র- উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, সম্পাদনা- শান্তা শ্রীমানি, প্রকাশক- বসাক বুক স্টোর প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬১ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৮৮৪
- হাঁস ছিল, সজারু, (ব্যাকরণ মানি না),
হয়ে গেলে 'হাঁসজারু' কেমনে তা জানি না- সুকুমার রায় (খিচুড়ি), সুকুমার সমগ্র রচনাবলী- সুকুমার রায়, প্রথম খণ্ড, সম্পাদনা- পুণ্যলতা চক্রবর্তী, কল্যাণী কার্লেকর, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬৭ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ২২
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]উইকিপিডিয়ায় হাঁস সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।
উইকিঅভিধানে হাঁস শব্দটি খুঁজুন।